Monday, August 30, 2010

গোপীনাথপুরে বসেছে পাখির মেলা

গোপীনাথপুরে বসেছে পাখির মেলা
Tuesday, 31 August 2010
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : শীত আসতে আরও মাস দুয়েক বাকি। অথচ গোপীনাথপুর এখনই পাখির মেলা বসেছে। পদ্মার কোলঘেঁষা এ গ্রামে বাসা বেঁধেছে হাজারও পাখি। নানা বর্ণের-রঙের পাখি। এ গ্রামের কোথাও তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। ঝোপঝাড়, বাঁশবন, পুকুর কিংবা খালে দলবেঁধে বসে আছে বক, বেলে হাঁস, পানকৌড়ী, চখা, মাছরাঙাসহ আরও অনেক জাতের পাখি।
বছর কয়েক আগে একই গ্রামে ছিল পাখির অভয়াশ্রম। কিন্তু পদ্মার ভাঙনে পাখির সেই অভায়শ্রম তলিয়ে যায়। হারিয়ে যায় পাখির মেলা। এরপর ওই গ্রামে আর পাখি দেখা যায়নি। এ বছর আকস্মিকভাবে দেশীয় সব জাতের পাখি এসে গোপীনাথপুর গ্রাম ওদের দখলে নিয়েছে। পাখির গানে এখন এ গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙছে। অস্ত যাচ্ছে সূর্য। গ্রামবাসী বলছেন, গ্রামেও সুখ এসেছে। তাদের আশা, এবার শীতে হয়তো ভিনদেশী পাখিরাও এদের সঙ্গে মিশে পাখির মহামিলন হবে গোপীনাথপুরে। এখনই মানুষ আর পাখির মধ্যে গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক আর ভালবাসা। এলাকাবাসী জানান, এক সময় হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রাম ছিল পাখির অভয়ারণ্য। সে গ্রামে প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষ পাখির মেলা দেখতে আসতো। কিন্তু সে অভয়ারণ্যটি হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। সেখানকার গাছপালা, গ্রামের মানুষের ঘরের চালা থেকে শুরু করে সবখানেই পাখির বাসা ছিল। সেই পাখির অভয়ারণ্যটি গিলে খেয়েছে রাক্ষুসে পদ্মা। পাখিগুলো অভিমান করে সেখান থেকে চলে গেছে। এরপর সেখানে আর পাখির কোলাহল দেখা যায়নি। দেখা যায়নি পাখিদের মিছিল। অথচ আজ বহুদিন পর আবার নতুন করে পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে গোপীনাথপুর গ্রাম। এ আনন্দ কোথায় ধরে রাখি।
Source: www.mzamin.com

Thursday, August 5, 2010

হাকালুকি হাওরের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারযুক্ত অতিথি পাখি এখন সাইবেরিয়ায়

হাকালুকি হাওরের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারযুক্ত অতিথি পাখি এখন সাইবেরিয়ায়

হাকালুকি হাওরের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার সংযুক্ত অতিথি পাখি এখন সাইবেরিয়ায়। ট্রান্সমিটারযুক্ত কিছু পাখি হিমালয়ের লাদাক আর কিছু চীনের হ্রদে অবন্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিএস বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের পাঠানো তথ্য অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাখি বিশেষজ্ঞ বশির আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাকালুকি হাওরের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার সংযুক্ত অতিথি পাখি এখন সাইবেরিয়ায়ট্রান্সমিটারযুক্ত কিছু পাখি হিমালয়ের লাদাক আর কিছু চীনের হ্রদে অবন্থান করছেযুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিএস বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেতাদের পাঠানো তথ্য অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাখি বিশেষজ্ঞ বশির আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে
২০০৯ সালের মার্চ মাসে দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে ১৬টি পাখির গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার এবং ৩৪টি পাখির পায়ে বিশেষ রিং পরানো হয়সেসময় বলা হয়েছিল, পাখিগুলো বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গেলে এদের গতিবিধি ও অবস্থান জানা যাবেইন্টারনেটের গুগল আর্থ-এর মাধ্যমে পাখিগুলোর গতিবিধি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছে ইউএসজিএস (ইউনাইটেড স্ট্যাট জিওলজিক্যাল সার্ভে)ইউএসজিএস-এর মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিডব্লিউবিএমপির পাখি বিশেষজ্ঞ বশির আহমদ গতকাল জানান, হাকালুকি হাওর থেকে পাখিগুলো ছাড়ার পর কিছু পাখি চীনের হ্রদে, কিছু পাখি হিমালয়ের পাদদেশ লাদাকে এবং কিছু পাখি সাইবেরিয়ায় পৌঁছেছে
তবে কয়েকটি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কাজ করছে নাফলে আর কিছু পাখির গতিবিধি জানা যাচ্ছে নাযে সব স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কাজ করছে না সেগুলো পাখির গা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যেতে পারেতিনি আরো জানান, মূলত পাখিগুলোর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে ইউএসজিএসতারা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিডব্লিউবিএমপিকে পাখির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানায়গত ১৭ জুলাই পাখিগুলো সাইবেরিয়া পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইউএসজিএস
- রাজগৌরীপুর ডেক্স-এমএইচকে/০৩-০৮-১০
Source: http://rajgouripur.com