মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : শীত আসতে আরও মাস দুয়েক বাকি। অথচ গোপীনাথপুর এখনই পাখির মেলা বসেছে। পদ্মার কোলঘেঁষা এ গ্রামে বাসা বেঁধেছে হাজারও পাখি। নানা বর্ণের-রঙের পাখি। এ গ্রামের কোথাও তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। ঝোপঝাড়, বাঁশবন, পুকুর কিংবা খালে দলবেঁধে বসে আছে বক, বেলে হাঁস, পানকৌড়ী, চখা, মাছরাঙাসহ আরও অনেক জাতের পাখি।
বছর কয়েক আগে একই গ্রামে ছিল পাখির অভয়াশ্রম। কিন্তু পদ্মার ভাঙনে পাখির সেই অভায়শ্রম তলিয়ে যায়। হারিয়ে যায় পাখির মেলা। এরপর ওই গ্রামে আর পাখি দেখা যায়নি। এ বছর আকস্মিকভাবে দেশীয় সব জাতের পাখি এসে গোপীনাথপুর গ্রাম ওদের দখলে নিয়েছে। পাখির গানে এখন এ গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙছে। অস্ত যাচ্ছে সূর্য। গ্রামবাসী বলছেন, গ্রামেও সুখ এসেছে। তাদের আশা, এবার শীতে হয়তো ভিনদেশী পাখিরাও এদের সঙ্গে মিশে পাখির মহামিলন হবে গোপীনাথপুরে। এখনই মানুষ আর পাখির মধ্যে গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক আর ভালবাসা। এলাকাবাসী জানান, এক সময় হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রাম ছিল পাখির অভয়ারণ্য। সে গ্রামে প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষ পাখির মেলা দেখতে আসতো। কিন্তু সে অভয়ারণ্যটি হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। সেখানকার গাছপালা, গ্রামের মানুষের ঘরের চালা থেকে শুরু করে সবখানেই পাখির বাসা ছিল। সেই পাখির অভয়ারণ্যটি গিলে খেয়েছে রাক্ষুসে পদ্মা। পাখিগুলো অভিমান করে সেখান থেকে চলে গেছে। এরপর সেখানে আর পাখির কোলাহল দেখা যায়নি। দেখা যায়নি পাখিদের মিছিল। অথচ আজ বহুদিন পর আবার নতুন করে পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে গোপীনাথপুর গ্রাম। এ আনন্দ কোথায় ধরে রাখি। |
No comments:
Post a Comment