রাজধানীতে পাখির মেলা
০০ রফিকুল বাসার
পাখির কাকলিতে মুখর সারা দিন। কার গান শুনি, কাকে রেখে কাকে দেখি। লাল নীল সবুজ রঙধনুর সব রঙ নিয়ে বাহারি পাখির মেলা। কারো মাথায় ঝুটি। কারো ইয়া লম্বা লেজ। কেউ খাঁচায়। কারো পায়ে শিকল। কেউ বা আবার দর্শনাথর্ীদের হাতে বসে পিট পিট করে তাকাচ্ছে।
এমনই হরেক রকম বিদেশি পাখির মেলা বসেছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে এই পাখি প্রদর্শনীর। আয়োজক বাংলাদেশ এক্সোটিক বার্ড ব্রিডার্স এসোসিয়েশন। শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (9th Dec, 2010)। শেষ হবে আজ। পাখি দেখা যাবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মাথায় হলদে ঝুটি, দুধ সাদা তাকাতুয়ার পায়ে শিকল। দাঁড়ের উপর বসে আছে চুপচাপ। যেন গভীর চিন্তায় মগ্ন। কাকাতুয়ার পাশেই রয়েছে ম্যাকাও, গ্রে প্যারট। এরা কাকাতুয়ার জাতি। 'কথা বলা', পাখি হিসাবে গ্রে প্যারটের নাম-ডাক সবচেয়ে বেশি। ম্যাকাও প্রায় দুই ফুট লম্বা পাখি। আছে বাজরিগার। বাজরিগার এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। অস্ট্রেলিয়ায় এই পাখিকে সবাই চেনে প্যারাকিট নামে। যেকোন পরিবেশে সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে সে। সাত ইঞ্চি দৈর্ঘ্যর এই পাখি খাঁচায় পোষা যায়। পুরো বুকটা সবুজে হলুদে মাখাপাখি। ঘাড়ের কাছে কালো হলুদ। লাভ বার্ডের রঙটাও ভারি মন কেড়ে নেয়। বেশ কয়েক রঙের লাভবার্ড আছে। হলুদ লাল বেগুনি। আফ্রিকা অঞ্চলের এই পাখির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫ ইঞ্চি। পিঠের দিকটা সবুজ। বুক হলুদ, ঠোঁট লাল। প্যারোটলেট বা ফরপাস অনেকটা লাভবার্ডের মতো। আয়তনে আমাদের চড়-ই পাখির মতো। পাওয়া যায় ভেনেজুয়েলা, পানামা, কলম্বিয়া ও পেরু অঞ্চলে। এরা ১০/১৫ বছর বাঁচে।
মাথায় তাজ বা মুকুট পরে মেজাজি চোখে তাকিয়ে আছে ককাটেল। এটি শান্তিপ্রিয় পাখি তোতাপাখি জাতের। মাথায় পালক থাকায় অনেকে একে ছোট কাকাতুয়া বলে। গ্রে বা ধূসর এর রঙ। এছাড়াও আছে সাদা, পার্ল, হলুদ ও পাইড। ইউরোপে এর বাস হলেও অন্যান্য এলাকাতেও পাওয়া যায়। জাভা চড়-ই মাথা উঁচু করে থাকলে মনে হবে যেন পেঙ্গুইনের মতো তাকিয়ে আছে। ছোট ঠোঁটের এই পাখি খুব সতর্ক। গোলাপি ঠোঁট, চোখ কালো, চোখের পাশে লাল বৃত্ত। স্পেনডিড প্যারাকিট দেখতে অনেকটা টিয়ার মতো। অস্ট্রেলিয়ার এই পাখির লেজ অনেক লম্বা। হলুদ-লালের এমন মিশ্রণ চোখকে স্থির করে দেবে। চোখ ধাঁধানো সুন্দর রঙের মিলন সোনালি আভা রোজেলা পাখির পালকে। প্রতিটি রঙই গাঢ়। পালক জুড়ে সোনালি আভা। দু'টি ডানার ধারে হলুদ রঙের ছোপ। শরীরের পেছনে কালো ফিতের মতো লম্বা দাগ। তার নিচে সোনালি হলুদ। লেজের নিচে নীলচে হলুদ। তলপেটে লাল আভা।
আরো আছে কাকারিকি, ক্যানারি, স্প্যাঞ্জেল বাজরিগার, গোল্ডিয়েন ফিঞ্চ, লোরি, ডায়মন্ড ডোভ বা ঘুঘু, লাফিং ডোভ ইত্যাদি। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ পাখি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
বাসায় পোষার জন্য এসব পাখি উপযোগী বলে জানালেন আয়োজকরা। বড় আকারের ম্যাকাও কিনতে গেলে লাগবে এক লাখ টাকা। এর পায়ে সব সময় থাকবে শিকল। রোজেলা কিনতে গেলে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। লাভবার্ডের দাম ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাজরিগার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা।
এমনই হরেক রকম বিদেশি পাখির মেলা বসেছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে এই পাখি প্রদর্শনীর। আয়োজক বাংলাদেশ এক্সোটিক বার্ড ব্রিডার্স এসোসিয়েশন। শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (9th Dec, 2010)। শেষ হবে আজ। পাখি দেখা যাবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মাথায় হলদে ঝুটি, দুধ সাদা তাকাতুয়ার পায়ে শিকল। দাঁড়ের উপর বসে আছে চুপচাপ। যেন গভীর চিন্তায় মগ্ন। কাকাতুয়ার পাশেই রয়েছে ম্যাকাও, গ্রে প্যারট। এরা কাকাতুয়ার জাতি। 'কথা বলা', পাখি হিসাবে গ্রে প্যারটের নাম-ডাক সবচেয়ে বেশি। ম্যাকাও প্রায় দুই ফুট লম্বা পাখি। আছে বাজরিগার। বাজরিগার এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। অস্ট্রেলিয়ায় এই পাখিকে সবাই চেনে প্যারাকিট নামে। যেকোন পরিবেশে সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে সে। সাত ইঞ্চি দৈর্ঘ্যর এই পাখি খাঁচায় পোষা যায়। পুরো বুকটা সবুজে হলুদে মাখাপাখি। ঘাড়ের কাছে কালো হলুদ। লাভ বার্ডের রঙটাও ভারি মন কেড়ে নেয়। বেশ কয়েক রঙের লাভবার্ড আছে। হলুদ লাল বেগুনি। আফ্রিকা অঞ্চলের এই পাখির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫ ইঞ্চি। পিঠের দিকটা সবুজ। বুক হলুদ, ঠোঁট লাল। প্যারোটলেট বা ফরপাস অনেকটা লাভবার্ডের মতো। আয়তনে আমাদের চড়-ই পাখির মতো। পাওয়া যায় ভেনেজুয়েলা, পানামা, কলম্বিয়া ও পেরু অঞ্চলে। এরা ১০/১৫ বছর বাঁচে।
মাথায় তাজ বা মুকুট পরে মেজাজি চোখে তাকিয়ে আছে ককাটেল। এটি শান্তিপ্রিয় পাখি তোতাপাখি জাতের। মাথায় পালক থাকায় অনেকে একে ছোট কাকাতুয়া বলে। গ্রে বা ধূসর এর রঙ। এছাড়াও আছে সাদা, পার্ল, হলুদ ও পাইড। ইউরোপে এর বাস হলেও অন্যান্য এলাকাতেও পাওয়া যায়। জাভা চড়-ই মাথা উঁচু করে থাকলে মনে হবে যেন পেঙ্গুইনের মতো তাকিয়ে আছে। ছোট ঠোঁটের এই পাখি খুব সতর্ক। গোলাপি ঠোঁট, চোখ কালো, চোখের পাশে লাল বৃত্ত। স্পেনডিড প্যারাকিট দেখতে অনেকটা টিয়ার মতো। অস্ট্রেলিয়ার এই পাখির লেজ অনেক লম্বা। হলুদ-লালের এমন মিশ্রণ চোখকে স্থির করে দেবে। চোখ ধাঁধানো সুন্দর রঙের মিলন সোনালি আভা রোজেলা পাখির পালকে। প্রতিটি রঙই গাঢ়। পালক জুড়ে সোনালি আভা। দু'টি ডানার ধারে হলুদ রঙের ছোপ। শরীরের পেছনে কালো ফিতের মতো লম্বা দাগ। তার নিচে সোনালি হলুদ। লেজের নিচে নীলচে হলুদ। তলপেটে লাল আভা।
আরো আছে কাকারিকি, ক্যানারি, স্প্যাঞ্জেল বাজরিগার, গোল্ডিয়েন ফিঞ্চ, লোরি, ডায়মন্ড ডোভ বা ঘুঘু, লাফিং ডোভ ইত্যাদি। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ পাখি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
বাসায় পোষার জন্য এসব পাখি উপযোগী বলে জানালেন আয়োজকরা। বড় আকারের ম্যাকাও কিনতে গেলে লাগবে এক লাখ টাকা। এর পায়ে সব সময় থাকবে শিকল। রোজেলা কিনতে গেলে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। লাভবার্ডের দাম ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাজরিগার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা।
No comments:
Post a Comment