চবি ক্যাম্পাস : শীত এসেছে অতিথি পাখি আসেনি রাজীব নন্দী শীতের কুয়াশা ভেদ করে সুন্দর 'আবাবিল', ভোরের আলোতে চঞ্চল 'সাদামাটানাকুটি' আর পড়ন্ত বিকেলের দুরন্ত 'সুঁইচোরা'- এখন কেবলই স্মৃতি। গত চার বছর আগেও স্থানটি ছিল পাখিবৈচিত্র্যের সমাহার। আজ সেই তেরশ' একরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যেন 'নিঝুমপুরী'! অথচ দেশের অন্য সবকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ক্যাম্পাস ছিল পাখিবৈচিত্র্যে অনন্য।
সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে হওয়া পাখি শুমারির পর আর কোন শুমারি হয়নি এখানে। তবে ব্যক্তিগত গবেষণা ও সংশ্লিষ্টদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে, পাখির নিরাপদ আবাস হয়ে উঠতে পারেনি এই ক্যাম্পাস। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকা, সচেতনতার অভাব আর বিদেশি গাছ রোপণের ফলে ক্যাম্পাস এলাকা পাখি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্টরা আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহকে পাখি শুমারি করার দাবি জানিয়েছেন ।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক জরিপ মতে এই ক্যাম্পাসে মোট ১৫০ প্রজাতির পাখির বসতি! যার অন্তত আশি প্রজাতি দেশীয়। বর্তমানে এই সংখ্যাটি কত জানতে চাইলে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী সৈয়দ আসমত কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শীতের অতিথি পাখিদের নিয়ে শুমারি কিংবা দেশীয় পাখিদের নিয়ে কোন জরিপ না হওয়ায় সংখ্যাটা বলা মুশকিল। তবে পাখির সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। অথচ তিন পার্বত্যাঞ্চল কিংবা সুন্দরবনেও এত প্রজাতির পাখি ছিল না ।'
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগেও ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড়ে ছিল ৫০ প্রজাতির পাখি। সবুজ পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট খোপ করে বাসা বুনতো 'সাদামাটানাকুটি'। আর 'সুঁইচোরা'র ঝাঁক চোখে পড়তো ক্যাম্পাসের শহীদমিনারের পেছনের এলাকা, উদ্ভিদ উদ্যান ও ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউট এলাকায়। সারাক্যাম্পাসজুড়ে ছিল মথুরা, মাছরাঙ্গা, জংলি মুরগী, চড়ই, শালিক আর ময়নার কলকাকলি। কিন্তু এখন এই পাখিগুলো খুব একটা চোখে পড়ে না। এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত চার বছরে ক্যাম্পাসে আসছে না আবাবিল, চেস্টনাট, জলপিপি পাখিও।
সরেজমিন পরির্দশনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের কাটাপাহাড়, ফরেস্টি ইনস্টিটিউটের সংরক্ষিত এলাকা, ছাত্র হলসংলগ্ন এলাকায় গত চার বছর ধরে লাগানো হয়েছে এ্যাকাশিয়া আর ইউকেলিপটাস প্রজাতির গাছ। দ্রুত বর্ধনশীল হলেও এসব গাছ অধিক পানি শোষণ করে। ফলে অন্য কোন গাছ এর পাশে বেড়ে উঠতে পারে না। দেশীয় পাখিরাও এসব গাছে বাসা বাধে না। অধ্যাপক সৈয়দ আসমত বলেন, 'ক্যাম্পাস 'ইন্দো বার্মা হট স্পট' এলাকায় হওয়ায় প্রাণীবৈচিত্র্যের সম্ভাবনা বেশি । কিন্তু বিদেশি প্রজাতির গাছের কারণে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে । বেশি করে দেশি গাছ লাগানোর মাধ্যমে পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তুলতে হবে। পাখি সপ্তাহ এবং পাখি উৎসব করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগকে দায়িত্ব দিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তা আন্তরিকতার সাথেই পালন করবে।'
প্রাণীবৈচিত্র্য বিষয়ক গবেষক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন সাবেক শিক্ষার্থী সাজিদ আলী হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তিন বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় বার্ড ক্লাব গঠিত হয়েছিল। পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা গড়ে উঠা দূরে থাক এখন তারই অস্তিত্ব নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহকে পাখি শুমারি করার জন্য দাবি জানাই।
সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে হওয়া পাখি শুমারির পর আর কোন শুমারি হয়নি এখানে। তবে ব্যক্তিগত গবেষণা ও সংশ্লিষ্টদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে, পাখির নিরাপদ আবাস হয়ে উঠতে পারেনি এই ক্যাম্পাস। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকা, সচেতনতার অভাব আর বিদেশি গাছ রোপণের ফলে ক্যাম্পাস এলাকা পাখি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্টরা আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহকে পাখি শুমারি করার দাবি জানিয়েছেন ।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক জরিপ মতে এই ক্যাম্পাসে মোট ১৫০ প্রজাতির পাখির বসতি! যার অন্তত আশি প্রজাতি দেশীয়। বর্তমানে এই সংখ্যাটি কত জানতে চাইলে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী সৈয়দ আসমত কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শীতের অতিথি পাখিদের নিয়ে শুমারি কিংবা দেশীয় পাখিদের নিয়ে কোন জরিপ না হওয়ায় সংখ্যাটা বলা মুশকিল। তবে পাখির সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। অথচ তিন পার্বত্যাঞ্চল কিংবা সুন্দরবনেও এত প্রজাতির পাখি ছিল না ।'
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগেও ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড়ে ছিল ৫০ প্রজাতির পাখি। সবুজ পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট খোপ করে বাসা বুনতো 'সাদামাটানাকুটি'। আর 'সুঁইচোরা'র ঝাঁক চোখে পড়তো ক্যাম্পাসের শহীদমিনারের পেছনের এলাকা, উদ্ভিদ উদ্যান ও ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউট এলাকায়। সারাক্যাম্পাসজুড়ে ছিল মথুরা, মাছরাঙ্গা, জংলি মুরগী, চড়ই, শালিক আর ময়নার কলকাকলি। কিন্তু এখন এই পাখিগুলো খুব একটা চোখে পড়ে না। এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত চার বছরে ক্যাম্পাসে আসছে না আবাবিল, চেস্টনাট, জলপিপি পাখিও।
সরেজমিন পরির্দশনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের কাটাপাহাড়, ফরেস্টি ইনস্টিটিউটের সংরক্ষিত এলাকা, ছাত্র হলসংলগ্ন এলাকায় গত চার বছর ধরে লাগানো হয়েছে এ্যাকাশিয়া আর ইউকেলিপটাস প্রজাতির গাছ। দ্রুত বর্ধনশীল হলেও এসব গাছ অধিক পানি শোষণ করে। ফলে অন্য কোন গাছ এর পাশে বেড়ে উঠতে পারে না। দেশীয় পাখিরাও এসব গাছে বাসা বাধে না। অধ্যাপক সৈয়দ আসমত বলেন, 'ক্যাম্পাস 'ইন্দো বার্মা হট স্পট' এলাকায় হওয়ায় প্রাণীবৈচিত্র্যের সম্ভাবনা বেশি । কিন্তু বিদেশি প্রজাতির গাছের কারণে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে । বেশি করে দেশি গাছ লাগানোর মাধ্যমে পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তুলতে হবে। পাখি সপ্তাহ এবং পাখি উৎসব করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগকে দায়িত্ব দিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তা আন্তরিকতার সাথেই পালন করবে।'
প্রাণীবৈচিত্র্য বিষয়ক গবেষক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন সাবেক শিক্ষার্থী সাজিদ আলী হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তিন বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় বার্ড ক্লাব গঠিত হয়েছিল। পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা গড়ে উঠা দূরে থাক এখন তারই অস্তিত্ব নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহকে পাখি শুমারি করার জন্য দাবি জানাই।
No comments:
Post a Comment