Friday, January 22, 2010

পাখির অভয়ারণ্য হচ্ছে ফয়'স লেক

পাখির অভয়ারণ্য হচ্ছে ফয়'স লেক চট্টগ্রাম অফিস
চট্টগ্রামের নয়নাভিরাম ফয়'স লেক এলাকায় অবস্থিত চিড়িয়াখানার ভেতরের একটি পাহাড়ে গড়ে তোলা হবে পাখির অভায়রণ্য। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় এই অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হচ্ছে।
পাহাড় অটুট রেখে কিভাবে এই অভয়ারণ্য গড়ে তোলা যায় তার নকশা তৈরির কাজ চলছে। এজন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের অন্যতম ডিজাইনার স্থপতি মঞ্জুরুল কাদেরকে। স্থপতি মঞ্জুরুল কাদের বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুরোধে বিনাপারিশ্রমিকে তিনি অভয়ারণ্যের নকশা তৈরি করছেন। তিনি জানান, পাখির এই অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে খরচ হবে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা।
চিড়িয়াখানা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বৈঠকে চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে সহায়তার জন্য শিল্পপতিদের কাছে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর যেসব শিল্পপতি আগ্রহ দেখান তাঁদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়। বর্তমানে চিড়িয়াখানার তহবিলে ৮৮ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এ প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, 'আমরা চিড়িয়াখানাকে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা হয়ে উঠবে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।'
চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, চিড়িয়াখানার উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ সব রাস্তা মেরামত করে দিচ্ছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বসানো হচ্ছে গভীর নলকূপ, এলিট পেইন্টের পক্ষে দেওয়া হচ্ছে খাঁচাকে রাঙিয়ে তোলার কাজে ব্যবহৃত রঙ। এছাড়া জিপিএইচ ইস্পাত কোম্পানি কুমিরের জন্য একটি নতুন খাঁচা করে দিচ্ছে।
পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলা প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. এম মোর্শেদ চৌধুরী জানান, বর্তমানে চিড়িয়াখানার ভেতরে বিশাল যে পাহাড়টি রয়েছে তা তেমন কোনো কাজে আসে না। তাই পাহাড়ের সীমানা ঘেঁষে গাছগুলোর সমান খাঁচা তৈরি করা হবে পাখিদের আবাস হিসেবে। আর পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে থাকবে পর্যটকদের বসার জন্য ছোট ছোট টুল।
Source:Dailykalerkantho
২৩ জানুয়ারি ২০১০

No comments:

Post a Comment