Saturday, November 27, 2010

পচামাড়িয়া গ্রাম : যেখানে পাখিরা আসে অতিথি হয়ে

পচামাড়িয়া গ্রাম : যেখানে পাখিরা আসে অতিথি হয়ে

গ্রামটির নাম পচামাড়িয়া। চারদিকে সবুজ ধানক্ষেত, খাল-বিল আর পাহাড়ের মতো উঁচু বনভূমি। পাশ দিয়েই ধীরগতিতে বয়ে গেছে বারনই নদী। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ১৮ কিলোমিটার উত্তরে নিভৃত পল্ক্নীর এ গ্রামটিতে কিছু সহজ-সরল মানুষের বাস। শীতকালে সরলমনা এ মানুষগুলোর সঙ্গে শরিক হয় হাজার হাজার অতিথি পাখি। যেন রঙ-বেরঙের পাখির মেলা বসে গ্রামটিতে। গ্রামবাসীও মেতে ওঠেন তাদের মেহমানদারি নিয়ে। চৌকস শিকারির হাত থেকে পাখি রক্ষাসহ প্রতিদিন হাজারো দর্শকের উটকো ঝামেলা পোহাতে হয় গ্রামবাসীর। তারপরও পাখির সঙ্গে বসবাসেই সুখী পচামাড়িয়াবাসী। <ইজ>বাঁশঝাড়, শিমুল, আম, কড়ই, তেঁতুলসহ বড় বড় বৃক্ষের দিকে চোখ পড়লেই দেখা যায় অতিথি পাখির মেলা। বড় বড় সাদা বক, মাইছা বক, পানকৌড়ি, লালঘাক, সল্কি্ন, সারস, শামুক কলসহ অতিচেনা পাখি কাক, ফিঙ্গে, শালিক, বাদুড়, দোয়েল সারি সারি গাছের মাথায় বসে আছে। গ্রামের যে গাছ ও বাঁশ ঝাড়গুলোতে পাখি থাকে তার নিচে ১২টি পরিবারের বসবাস। পাখির মলে বাঁশ ঝাড়গুলোর সবুজ রঙ সাদা চুনের মতো হয়ে গেছে। বাড়িগুলোও একই রঙ ধারণ করেছে। জেহের আলী মুহরি নামে এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন হলো পাখিরা আছে। তাই মলের গল্পব্দ সহনীয় হয়ে গেছে। তাছাড়া পাখির সৌন্দর্য তো আর কম নয়। লুৎফর রহমান নামে অপর একজন বলেন, পাখিরা এ গ্রামে থাকলেও কোনো ক্ষতি করে না। তারা সকালে বেরিয়ে যায়, বিকেলে ফিরে আসে।<ইজ>এ গ্রামের পাখির নিরাপত্তায় রয়েছে পাখি সংরক্ষণ কমিটি। এই কমিটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য ৩১ এবং সাধারণ পরিষদ ১০১ সদস্যের। কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল এবং সমঙ্াদক সুভ্রানস্ন কুমার শাহা। চেয়ারম্যান মুকুল পচামাড়িয়া গ্রামকে পাখির অভয়াশ্রম বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই এখানে পাখি শিকার নিষিদব্দ। সবাই পাখি রক্ষায় সচেতন। অপরিচিত কেউ গ্রামে ঢুকলেই কমিটির সদস্যরা তাদের অনুসরণ করেন। যেন কেউ শিকার কিংবা পাখির বিরক্তির কারণ না হয়।<ইজ>পচামাড়িয়া গ্রামে পাখি বিচরণের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন বিকেলে পাখি দেখার জন্য হাজারো মানুষের ভিড় জমে। গ্রামবাসী এসব দর্শনাথর্ীর সুবিধার্থে গড়ে তুলেছেন হালকা খাবারের দোকান। অনেকেই বাদাম, চানাচুর, কলা, চা, বিস্ট্কুট, সিঙ্গাড়া, পিঁয়াজুসহ বিভিল্পম্ন দোকান খুলে বসেছেন। দোকানগুলোয় ভালো বিত্রিক্র হয় বলে জানালেন ইউপি সদস্য খয়েরউদ্দিন প্রামাণিক। গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ বলেন, পাখি দেখার জন্য প্রচুর লোক আসায় পচামাড়িয়া এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
Source: shamokal: 2006-03-05

No comments:

Post a Comment