অতিথি পাখি: ক্যামেরার ঝিলিকে স্বাগত জানাতে পারি
বাংলাদেশে ৩৭৮ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে তাদের মধ্যে ১২৮ প্রজাতির অতিথি পাখি বাকীগুলি আবাসিক পাখি। বাংলাদেশে প্রায় ২৫০ প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। অতিথি পাখি বলতে তাদের বুঝায় যারা অন্যদেশ থেকে আমাদের দেশে আসে কিন্তু বাসা করে না বা ডিম-বাচ্চা দেয় না। এদের কিছু প্রজাতি এদেশে কিছু সময়ের জন্য এসে আবার ফিরে যায়, আর কিছু যাত্রা বিরতির জন্য এ অঞ্চলে অবস্থান করে আরও দক্ষিণে চলে যায়। কিছু প্রজাতি এত বেশী সময় আমাদের দেশে থাকে যে এদের অতিথি পাখি বলে মনেই হয় না। যেমন আবাবিল পাখি যার কিছু সদস্য প্রায় সারা বছরই দেখা যায়। যদিও শীতের সময় এরা লাখে লাখে আসে। শীতের সময় এদেশের জলাভূমিগুলোতে ঝাঁক বেধে জড়ো হওয়া বিভিন্ন প্রজাতির বুনো হাঁস ও অন্যান্য জলজ পাখিদের সাধারণ মানুষ অতিথি পাখি হিসেবে জানে যদিও এদের একটা বড় অংশ আমাদের দেশীয় আবাসিক পাখি। শীতের শুষ্ক মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের স্থান কমে যাওযায় ঝাঁক বেধে এরা জলাভূমিগুলোতে জড়ো হয়। ৬২ প্রজতির অতিথি পাখি এ অঞ্চলের বসত বাড়ী, বাগান, ঝোপ-ঝাড়, পতিতজমি, কৃষিভূমিতে বিচরণ করতে দেখা যায়। এ দলে ঈগলের মত বড় পাখি থাকলেও অধিকাংশই ছোট আকারের হওয়ায় সচরাচর নজরে আসে না। প্রধানতঃ উত্তরাঞ্চলের দেশ সমূহে যেমন চীন, সাইবেরিয়া ও ইউরোপীয় অঞ্চলে প্রচন্ড শীতের কারণে এসব পাখি অভিপ্রয়ান করে থাকে তবে কিছু পাখি যেমন আবাবিল, গুলিন্দা, চা পাখি, ছোট জিরিয়া জুলাই মাস থেকে আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। এটা সম্ভবতঃ এদের যাযাবর স্বভাবের জন্য। এসব অতিথিদের আমরা বন্দুকের গুলি দিয়ে নয় ক্যামেরার ঝিলিকে স্বাগত জানাতে পারি।
By Mahmoodkhan, somewhereinblog
No comments:
Post a Comment