শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে উড়ে আসা হাজারো অতিথি পাখির কলতানে মুখর বাংলার প্রকৃতি। অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ রঙবেরঙের শীতের পাখির কিচিরমিচির চলে পুরোটা শীতকাল জুড়েই। অতিথি পাখির সাতকাহন থাকছে এ প্রতিবেদনে
শামুকখোল
ছয় ঋতুর বৈচিত্র্যের এ দেশে এখন শীতকাল। সকালে ঘাসের ডগায় রুপার শিশিরকণা হালকা বাতাসে তিরতির করে কাঁপতে শুরু করেছে। শহর ছেড়ে একটু গ্রামের দিকে চোখ মেললেই দেখা মিলছে হলুদ প্রান্তর। সরিষার ফুল ফুটছে আর কুয়াশার দেখা মিলছে শহরে বসেই। সূর্য উঠছে বেশ বেলা করে। বেড়েছে পাখি। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আবাবিল পাখি গোত্তা খেয়ে উড়ছে শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলোতে। পরিযায়ী পাখিগুলোও এসে বসতে শুরু করেছে গাছের ডালে আর জলমগ্ন এলাকায়। আমাদের দেশে মোট ৬৫৩ প্রজাতির পাখি আজ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০০ জাতের পাখি পুরো বছর বাংলাদেশে থাকতে পারে না। খাবারের খোঁজে, নিরাপদে বংশবিস্তারের জন্য তাদের এই ভ্রমণ। যে পাখি গাছের পাতার ফাঁকে থাকা পোকা খায়, তাদের জন্য বাংলার শীতকালটা অনেকটা দুর্ভিক্ষের মতো। তারা আরও দক্ষিণে চলে যায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার খোঁজে। আবার ঠিক ওই সময়টাতে সাইবেরিয়া, তিব্বতের মতো হিমশীতল এলাকার পাখিগুলো দক্ষিণে আরও সরে আসে। ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমারের মতো দেশের জলাশয়ে আশ্রয় নেয়। তারা এই ভ্রমণ করছে কয়েক লাখ বছর ধরে। তাই অনেকেই এদের অতিথি পাখি না বলে পরিযায়ী পাখি বলেন। বাংলা ভূখণ্ডে মানুষের বসতির ইতিহাস পাখির পরিভ্রমণের চেয়ে অনেকটাই নতুন, মাত্র ২০ থেকে ৩০ হাজার বছর আগে বাংলায় মানুষের বসতি। তাই বরং বাংলার এ ভূখণ্ডে আমরাই অতিথি।
বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি মানেই পানিতে এসে বসা ২৫ প্রজাতির হাঁসকে বোঝানো হয়। মেটে রাজহাঁস, রাজহাঁস, মার্গেঞ্জার, নাকটা হাঁস, চখাচখি, রাজমণি হাঁস, বড় সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুন্তে হাঁস, পাতারি হাঁস, ফুলুরি হাঁস, পিয়ং হাঁস, গিরিয়া হাঁস, সিথি হাঁস, নীল শির হাঁস, মান্ডারিন হাঁস, লালঝুটি ভূতি হাঁস, পাতি ভূতি হাঁস, মরচে রঙ ভূতি হাঁস, বিয়ারের ভূতি হাঁস, টিকি হাঁসসহ আরও চার প্রজাতির হাঁস। হাঁস দেখতে বেশ বড়, শীতে সংকীর্ণ হয়ে থাকা জলাশয়ে বসে, ফলে এক সঙ্গে অনেকগুলো পাখি দেখা যায়। তাই আমাদের মনে গেঁথে রয়েছে অতিথি পাখি মানেই হাঁস। অথচ ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় ঘুড়ির মতো গোত্তা খাওয়া আবাবিল পাখিটাও কিন্তু পরিযায়ী। সেপ্টেম্বরের শুরুতে এরা ডেরা বাঁধতে থাকে বাংলাদেশে। ছোট পাখির দলে শুধু এরাই নয়, আরও প্রচুর পাখি রয়েছে খোদ ঢাকা শহরে, যারা শীতে আশ্রয় নিয়েছে বড় বড় গাছে। এই গাছের পাখিগুলোর তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফ্লাইক্যাচার [চুটকি], বিভিন্ন প্রজাতির ওয়ার্বলার [ফুটকি] আর থ্রাশ [দামা]। হলদে পেট ফুটকি, সবুজ চান্দি ফুটকি, বাচাল নীল ফুটকি, নীলশীষ দামা, কমলা দামা, বিভিন্ন প্রজাতির খঞ্জন আর চুটকিসহ আরও প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখি। পাখিগুলোকে একটু মনোযোগ দিয়ে খুঁজলে পেয়ে যাবেন গাছপালা ভরপুর এলাকায়। এরপর বলা যেতে পারে চখাচখির কথা। বাংলাদেশের কবিদের কবিতায় বারবার চলে আসে এই পাখিটির নাম। অথচ এই পাখিও কিন্তু পরিযায়ী। মাত্র ২-৩ মাস এরা প্রজনন ঋতুতে তিব্বতে থাকে, ৬-৭ মাস বাংলাদেশে আর বাকিটা সময় পথে। হাঁস আর ছোট পাখির দলকে বাদ দিলে আরও একটি দল বাংলাদেশে আসে_ সৈকত পাখির দল। বাটান ও জিরিয়া পরিবারের এই পাখিগুলো নদীর ধারে, সমুদ্রের ধারে কাদায় থাকা পোকামাকড় খায় বলেই এই নাম। এই দলে রয়েছে ৬০ জাতের পাখি। হাঁসের চেয়ে আকারে ছোট। তবুও বেশ সহজেই চোখে পড়ে। গুলিন্দা, জৌরালি এই দলের পাখি। এই পাখিগুলোকে বেশি পাওয়া যায় উপকূলীয় অঞ্চলে। বেলনের গুরগুরি, কুট, ছোট শিলাবাটান, বড় শিলাবাটান, ঢেঙ্গা, লাল ঢেঙ্গা, বড়বাবু বাটান, মেটে মাথা তিতি, বড়ঢুল জিরিয়া, ছোটঢুল জিরিয়া, চোটনথ জিরিয়া, কেন্টিস জিরিয়া, কালো লেজ জৌরালি, ডোরালেজ জৌরালি, বড় গুলিন্দা, ছোট গুলিন্দা, লাল-পা, টিলা লাল-পাসহ আরও প্রচুর পাখি রয়েছে এই দলে। এছাড়া শিকারি পাখির একটি দলও রয়েছে। বাজ, ঈগলের বেশ বড় একটি দল শীতকালে এই দেশে কাটায়। আর শামুকখোলের মতো বড় পাখিগুলোকে জলাশয়ের ধারে বেশ সহজেই চোখে পড়ে।
আমাদের দেশে ১২ রকম মাছরাঙা রয়েছে, যেখানে পুরো আমেরিকা মহাদেশে রয়েছে মাত্র এক প্রজাতির! আমাদের দেশ প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে কতটা সমৃদ্ধ- এবার ভেবে দেখুন। কেউ কেউ অনেক সময় বলেছেন, আমরা নিজেরা খেতে পারি না, পাখিদের কী খেতে দেব? পাখি কিন্তু মানুষের খাবার খায় না, ধান খায় এমন পাখি কমই আছে। মুনিয়া আমাদের দেশি পাখি, তারা ধান খায়, তাও এত ছোট্ট পাখির জন্য যদি দুর্ভিক্ষ নেমে আসত তবে আরও আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা তার শিকার হতেন। কারণ পাখি এখনকার চেয়ে আরও ১০ গুণ ছিল কয়েক দশক আগেও। ওরা কোনো ক্ষতি করে না, যেমন হাঁসগুলো পানিতে থাকে; কিন্তু মাছ খায় না। এক জাতের পাখি হয়তো আছে মার্গেঞ্জল, যা মাছ খেত। কিন্তু মার্গেঞ্জল গত ৩০ বছরে আমরা মাত্র একটি দেখেছি। ফলে মাছ খায় এমন হাঁস নেই কিন্তু। অনেকে ভাবেন হাঁস পানিতে থাকে, তাই মাছ খায়_ পাখির চ্যাপ্টা ঠোঁট দেখেই বোঝা যায় সে মাছ খেতে অক্ষম। মাছ খাওয়া পাখির ঠোঁট হয় সরু বল্লমের মতো। যেমন বক। আবার বড়শির মতো বাঁকানো হতে পারে, যেমন পানকৌড়ি। মাছ ধরতে বড়শি বা বল্লমের প্রয়োজন, চ্যাপ্টা ঠোঁট দিয়ে মাছ ধরা সম্ভব নয়। পাখির সঙ্গে যে মানুষের বিরোধ নেই তা আমাদের পূর্বপুরুষরা ভালোই জানতেন। যে পানিতে পাখি আছে সে পানিতে মাছ আছে। কারণ পাখির যে বিষ্ঠা সেটা নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ। ফলে পানিতে যখন এটা পড়ে তখন পানি উর্বর হতে থাকে। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে লতাগুল্ম গজানোর ব্যবস্থা করে দেয়। একটি হাওরে এক লাখ পাখিও যদি নামে, প্রতিদিন ২০ গ্রাম করে মল ত্যাগ করলেও প্রতিদিন সেখানে এক টন নাইট্রোজেন সার জমা হচ্ছে। সরকার বা আমরা কি কোনো হাওরে গিয়ে সার দেই? বনে যে পাখি আছে, তা প্রতিদিন জঙ্গলের ৯০ ভাগ পোকা খেয়ে ফেলছে। এই প্রক্রিয়ায় যেমন পাখি বাঁচছে নিজে, জঙ্গলকেও রক্ষা করছে। যারা এটা জানে না, দেখতে পায় না, তারাই পাখিদের বিরুদ্ধে কথা বলে। পাখি ছাড়া আমাদের মোটেও চলবে না। এ জন্যই একথাগুলো মানুষের কাছে যাওয়া জরুরি। আর আমাদেরও জরুরি পাখির কাছে যাওয়া, তাদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়া। তাই ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার ভেতরে মিরপুর চিড়িয়াখানা লেক, সিরামিক লেক, পিলখানার বিজিবি লেক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আরো ভালো করে দেখতে চাইলে ডালপালা খুঁজে দেখুন, নতুন কোনো না কোনো বাহারি ছোট পাখি আপনার নজরে আসবেই।
বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি মানেই পানিতে এসে বসা ২৫ প্রজাতির হাঁসকে বোঝানো হয়। মেটে রাজহাঁস, রাজহাঁস, মার্গেঞ্জার, নাকটা হাঁস, চখাচখি, রাজমণি হাঁস, বড় সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুন্তে হাঁস, পাতারি হাঁস, ফুলুরি হাঁস, পিয়ং হাঁস, গিরিয়া হাঁস, সিথি হাঁস, নীল শির হাঁস, মান্ডারিন হাঁস, লালঝুটি ভূতি হাঁস, পাতি ভূতি হাঁস, মরচে রঙ ভূতি হাঁস, বিয়ারের ভূতি হাঁস, টিকি হাঁসসহ আরও চার প্রজাতির হাঁস। হাঁস দেখতে বেশ বড়, শীতে সংকীর্ণ হয়ে থাকা জলাশয়ে বসে, ফলে এক সঙ্গে অনেকগুলো পাখি দেখা যায়। তাই আমাদের মনে গেঁথে রয়েছে অতিথি পাখি মানেই হাঁস। অথচ ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় ঘুড়ির মতো গোত্তা খাওয়া আবাবিল পাখিটাও কিন্তু পরিযায়ী। সেপ্টেম্বরের শুরুতে এরা ডেরা বাঁধতে থাকে বাংলাদেশে। ছোট পাখির দলে শুধু এরাই নয়, আরও প্রচুর পাখি রয়েছে খোদ ঢাকা শহরে, যারা শীতে আশ্রয় নিয়েছে বড় বড় গাছে। এই গাছের পাখিগুলোর তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফ্লাইক্যাচার [চুটকি], বিভিন্ন প্রজাতির ওয়ার্বলার [ফুটকি] আর থ্রাশ [দামা]। হলদে পেট ফুটকি, সবুজ চান্দি ফুটকি, বাচাল নীল ফুটকি, নীলশীষ দামা, কমলা দামা, বিভিন্ন প্রজাতির খঞ্জন আর চুটকিসহ আরও প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখি। পাখিগুলোকে একটু মনোযোগ দিয়ে খুঁজলে পেয়ে যাবেন গাছপালা ভরপুর এলাকায়। এরপর বলা যেতে পারে চখাচখির কথা। বাংলাদেশের কবিদের কবিতায় বারবার চলে আসে এই পাখিটির নাম। অথচ এই পাখিও কিন্তু পরিযায়ী। মাত্র ২-৩ মাস এরা প্রজনন ঋতুতে তিব্বতে থাকে, ৬-৭ মাস বাংলাদেশে আর বাকিটা সময় পথে। হাঁস আর ছোট পাখির দলকে বাদ দিলে আরও একটি দল বাংলাদেশে আসে_ সৈকত পাখির দল। বাটান ও জিরিয়া পরিবারের এই পাখিগুলো নদীর ধারে, সমুদ্রের ধারে কাদায় থাকা পোকামাকড় খায় বলেই এই নাম। এই দলে রয়েছে ৬০ জাতের পাখি। হাঁসের চেয়ে আকারে ছোট। তবুও বেশ সহজেই চোখে পড়ে। গুলিন্দা, জৌরালি এই দলের পাখি। এই পাখিগুলোকে বেশি পাওয়া যায় উপকূলীয় অঞ্চলে। বেলনের গুরগুরি, কুট, ছোট শিলাবাটান, বড় শিলাবাটান, ঢেঙ্গা, লাল ঢেঙ্গা, বড়বাবু বাটান, মেটে মাথা তিতি, বড়ঢুল জিরিয়া, ছোটঢুল জিরিয়া, চোটনথ জিরিয়া, কেন্টিস জিরিয়া, কালো লেজ জৌরালি, ডোরালেজ জৌরালি, বড় গুলিন্দা, ছোট গুলিন্দা, লাল-পা, টিলা লাল-পাসহ আরও প্রচুর পাখি রয়েছে এই দলে। এছাড়া শিকারি পাখির একটি দলও রয়েছে। বাজ, ঈগলের বেশ বড় একটি দল শীতকালে এই দেশে কাটায়। আর শামুকখোলের মতো বড় পাখিগুলোকে জলাশয়ের ধারে বেশ সহজেই চোখে পড়ে।
আমাদের দেশে ১২ রকম মাছরাঙা রয়েছে, যেখানে পুরো আমেরিকা মহাদেশে রয়েছে মাত্র এক প্রজাতির! আমাদের দেশ প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে কতটা সমৃদ্ধ- এবার ভেবে দেখুন। কেউ কেউ অনেক সময় বলেছেন, আমরা নিজেরা খেতে পারি না, পাখিদের কী খেতে দেব? পাখি কিন্তু মানুষের খাবার খায় না, ধান খায় এমন পাখি কমই আছে। মুনিয়া আমাদের দেশি পাখি, তারা ধান খায়, তাও এত ছোট্ট পাখির জন্য যদি দুর্ভিক্ষ নেমে আসত তবে আরও আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা তার শিকার হতেন। কারণ পাখি এখনকার চেয়ে আরও ১০ গুণ ছিল কয়েক দশক আগেও। ওরা কোনো ক্ষতি করে না, যেমন হাঁসগুলো পানিতে থাকে; কিন্তু মাছ খায় না। এক জাতের পাখি হয়তো আছে মার্গেঞ্জল, যা মাছ খেত। কিন্তু মার্গেঞ্জল গত ৩০ বছরে আমরা মাত্র একটি দেখেছি। ফলে মাছ খায় এমন হাঁস নেই কিন্তু। অনেকে ভাবেন হাঁস পানিতে থাকে, তাই মাছ খায়_ পাখির চ্যাপ্টা ঠোঁট দেখেই বোঝা যায় সে মাছ খেতে অক্ষম। মাছ খাওয়া পাখির ঠোঁট হয় সরু বল্লমের মতো। যেমন বক। আবার বড়শির মতো বাঁকানো হতে পারে, যেমন পানকৌড়ি। মাছ ধরতে বড়শি বা বল্লমের প্রয়োজন, চ্যাপ্টা ঠোঁট দিয়ে মাছ ধরা সম্ভব নয়। পাখির সঙ্গে যে মানুষের বিরোধ নেই তা আমাদের পূর্বপুরুষরা ভালোই জানতেন। যে পানিতে পাখি আছে সে পানিতে মাছ আছে। কারণ পাখির যে বিষ্ঠা সেটা নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ। ফলে পানিতে যখন এটা পড়ে তখন পানি উর্বর হতে থাকে। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে লতাগুল্ম গজানোর ব্যবস্থা করে দেয়। একটি হাওরে এক লাখ পাখিও যদি নামে, প্রতিদিন ২০ গ্রাম করে মল ত্যাগ করলেও প্রতিদিন সেখানে এক টন নাইট্রোজেন সার জমা হচ্ছে। সরকার বা আমরা কি কোনো হাওরে গিয়ে সার দেই? বনে যে পাখি আছে, তা প্রতিদিন জঙ্গলের ৯০ ভাগ পোকা খেয়ে ফেলছে। এই প্রক্রিয়ায় যেমন পাখি বাঁচছে নিজে, জঙ্গলকেও রক্ষা করছে। যারা এটা জানে না, দেখতে পায় না, তারাই পাখিদের বিরুদ্ধে কথা বলে। পাখি ছাড়া আমাদের মোটেও চলবে না। এ জন্যই একথাগুলো মানুষের কাছে যাওয়া জরুরি। আর আমাদেরও জরুরি পাখির কাছে যাওয়া, তাদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়া। তাই ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার ভেতরে মিরপুর চিড়িয়াখানা লেক, সিরামিক লেক, পিলখানার বিজিবি লেক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আরো ভালো করে দেখতে চাইলে ডালপালা খুঁজে দেখুন, নতুন কোনো না কোনো বাহারি ছোট পাখি আপনার নজরে আসবেই।
লেখা ও ছবি : আল মারুফ
কৃতজ্ঞতা : ইনাম আল হক
Source: Daily samakal, 25th january-2011
No comments:
Post a Comment