Sunday, December 26, 2010

রাঙ্গুনিয়ায় তৈরি হচ্ছে পাখিশালা

রাঙ্গুনিয়ায় তৈরি হচ্ছে পাখিশালা
- মুহাম্মদ সেলিম, রাঙ্গুনিয়া থেকে ফিরে
চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাখিশালা 'শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো-পার্ক'। এ পাখিশালায় বিলুপ্ত হতে যাওয়া পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সংরক্ষণ করা হবে।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরপাখির জগৎ সম্পর্কে ধারণা দিতে গড়ে তোলা হচ্ছে এই ইকো-পার্ক। প্রাণিজগৎ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সহায়তার পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এখানে বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। গতকাল পার্কটির নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। উদ্বোধনের পর প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পার্ক তৈরির মাধ্যমে এখানে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানো হবে। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পার্কটিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রাখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি পাখিবিশেষজ্ঞ মওদুদুল আলম বলেন, এখানে বিলুপ্ত হওয়া বিভিন্ন পাখি ও বৃক্ষ সংরক্ষণ করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো দেশে এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো-পার্ক নেই। এশিয়ায় শুধু মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে এ পার্ক রয়েছে। এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এভিয়ারি পার্ক প্রতিষ্ঠা করছে। এ ধরনের পার্কে সাধারণত বিলুপ্ত হওয়া পাখি সংরক্ষণ করা হয়। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ার পাহাড় ও সমতলের ২১০ হেক্টর এলাকা জুড়ে পার্কটি গড়ে উঠছে। এটি তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। এখানে বাবুই, হলদে পাখি, ইগল, শকুন, বুলবুলি, দোয়েল, শ্যামা, শালিক, ভিংবাজ, পেঁচা, টুনটুনি, টিয়া, ঘুঘু, মাছরাঙা, সাদা বকের মতো বিলুপ্তপ্রায় পাখিগুলো সংরক্ষণ করা হবে। প্রকল্প এলাকায় ভেষজ ও অন্যান্য বিলুপ্তপ্রায় ৭১ হাজার ৫০০ গাছ লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া রোপণ করা হচ্ছে ৩০ হাজার সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। পাশাপাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে থাকছে রেস্টহাউস, ঝুলন্ত সেতু, আধুনিক রেস্তোরাঁ, লেক, হেলানো বেঞ্চ, আরসিসি স্টিল ছাতা, ওয়াচ টাওয়ার এবং শিশুদের জন্য দোলনা ও স্লিপার। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় থাকছে শেখ রাসেলের ম্যুরাল, হরিণ বিচরণক্ষেত্র ও কুমির প্রজননক্ষেত্র। এ বিষয়ে প্রকল্প কর্মকর্তা এস এম গোলাম মওলা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পাহাড় ও বনজঙ্গল ধ্বংস করার ফলে পাখির অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো-পার্কে বিলুপ্ত হওয়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সংরক্ষণ করা হবে।
Source: Daily Bangladesh-Pratidin, 8th August

No comments:

Post a Comment