শামুকখৈল পাখি বাসা বেঁধেছে ক্ষেতলালের কানাইপুকুর গ্রামে
০০ক্ষেতলাল সংবাদদাতা
শামুকখৈল একটি বিরল প্রজাতির পাখি। প্রকৃতির খেয়ালবশে বাসা বেঁধেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার নির্ভৃত এক গ্রাম কানাইপুকুরে এ পাখি বিভিন্ন অঞ্চলে শামুকভাঙ্গা, হাইতোলা মূখ, এশিয়ান ওপেন বিল ষ্টক ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা উপমহাদেশের কোথাও এই পাখির স্থায়ী বসবাস নেই। এমনকি এই পাখি প্রজননের অতীত কোন ইতিহাসও নেই। অথচ কানাইপুকুর গ্রামে ৩ বছর ধরে বসবাস করছে এই পাখি। গাছে বাসা বেঁধে সেখানে বাচ্চাও ফুটিয়েছে তারা। প্রতিদিন সকালে খাদ্যের সন্ধানে পাখিগুলো বেরিয়ে যাবার পর ফিরে আসে ঠিক বিকেল ৫টার পর। তখন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আকাশে ক্লান্ত ডানা মেলে কলতানে মূখরিত করে তোলে গোটা গ্রাম। মা পাখিদের আগমনের বার্তা পেয়ে বাচ্চা পাখিরাও তখন বাসায় থেকে কলতান শুরু করে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। এ গ্রামের পাখি দেখতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাখি প্রেমিকরা এসেছেন। তবে কাউকে পাখি ধরার অনুমতি দেয়নি গ্রামবাসী। গ্রামের কয়েকজন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে অভিযোগ করলেন, র্যাব পরিচয়ে কয়েক বন্দুকধারী একবার পাখিদের গুলিও চালিয়েছিলেন। যদিও অনুমতি তারা দিতে চাননি, তবুও র্যাবের পরিচয়ের কারণে অনেকটা ভয়েই অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে পরে গ্রামবাসী জেনেছেন তারা র্যাব নয়। এরপর থেকে গ্রামের সকলেই পাখির বিষয়ে অনেকটা সচেতন।
পাখি যে গাছগুলোতে বাসা বেঁধেছে সেগুলো গ্রামের বিত্তশালী আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান মেম্বর নামের জনৈক ব্যক্তির। তিনি জানালেন, প্রায় এক যুগ ধরে তাঁর এসব গাছ গছালিতে বক, রাতচোরা, পানকৌরি,বাদুর বসবাস করছে। তার নিজস্ব বন্দুক থাকা সত্বেও কোনদিন তিনি একটি পাখিও শিকার করেননি। বিগত ৩ বছর থেকে এখানে শামুকখৈল বাসা বাঁধার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ গ্রামের সকলেই পাখিগুলোকে ভালবাসেন। তাই কেউ এদেরকে মারতে পারে না। মারতে চাইলে সবাই বাধা দেয়। গ্রামের পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি খাল প্রবাহিত হয়েছে। সেই খালেই অধিকাংশ পাখি মাছ, ব্যঙ, শামুক, টাটা সংগ্রহে সময় কাটায়। এ ছাড়া এলাকার গোটা মাঠেই এসব পাখি বিচরন করে।
Source: Daily Ittefaq, 25 th January-2011
পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা উপমহাদেশের কোথাও এই পাখির স্থায়ী বসবাস নেই। এমনকি এই পাখি প্রজননের অতীত কোন ইতিহাসও নেই। অথচ কানাইপুকুর গ্রামে ৩ বছর ধরে বসবাস করছে এই পাখি। গাছে বাসা বেঁধে সেখানে বাচ্চাও ফুটিয়েছে তারা। প্রতিদিন সকালে খাদ্যের সন্ধানে পাখিগুলো বেরিয়ে যাবার পর ফিরে আসে ঠিক বিকেল ৫টার পর। তখন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আকাশে ক্লান্ত ডানা মেলে কলতানে মূখরিত করে তোলে গোটা গ্রাম। মা পাখিদের আগমনের বার্তা পেয়ে বাচ্চা পাখিরাও তখন বাসায় থেকে কলতান শুরু করে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। এ গ্রামের পাখি দেখতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাখি প্রেমিকরা এসেছেন। তবে কাউকে পাখি ধরার অনুমতি দেয়নি গ্রামবাসী। গ্রামের কয়েকজন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে অভিযোগ করলেন, র্যাব পরিচয়ে কয়েক বন্দুকধারী একবার পাখিদের গুলিও চালিয়েছিলেন। যদিও অনুমতি তারা দিতে চাননি, তবুও র্যাবের পরিচয়ের কারণে অনেকটা ভয়েই অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে পরে গ্রামবাসী জেনেছেন তারা র্যাব নয়। এরপর থেকে গ্রামের সকলেই পাখির বিষয়ে অনেকটা সচেতন।
পাখি যে গাছগুলোতে বাসা বেঁধেছে সেগুলো গ্রামের বিত্তশালী আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান মেম্বর নামের জনৈক ব্যক্তির। তিনি জানালেন, প্রায় এক যুগ ধরে তাঁর এসব গাছ গছালিতে বক, রাতচোরা, পানকৌরি,বাদুর বসবাস করছে। তার নিজস্ব বন্দুক থাকা সত্বেও কোনদিন তিনি একটি পাখিও শিকার করেননি। বিগত ৩ বছর থেকে এখানে শামুকখৈল বাসা বাঁধার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ গ্রামের সকলেই পাখিগুলোকে ভালবাসেন। তাই কেউ এদেরকে মারতে পারে না। মারতে চাইলে সবাই বাধা দেয়। গ্রামের পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি খাল প্রবাহিত হয়েছে। সেই খালেই অধিকাংশ পাখি মাছ, ব্যঙ, শামুক, টাটা সংগ্রহে সময় কাটায়। এ ছাড়া এলাকার গোটা মাঠেই এসব পাখি বিচরন করে।
Source: Daily Ittefaq, 25 th January-2011
No comments:
Post a Comment