দক্ষিণ চট্টগ্রামের পর্যটন স্পটগুলো অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর
০০ লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা , ডিসেম্বর ০৮, ২০১০
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও লোহাগাড়ার পর্যটন স্পট ও বনাঞ্চলে ভিনদেশী পাখি ভিড় জমিয়েছে। অতিথি পাখি দেখার জন্য প্রতিদিন পর্যটকরা স্পটে ভিড় জমাচ্ছে। এসব এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলেও অতিথি পাখিরা ভিড় জমাচ্ছে। ইতিমধ্যে উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের এসব অঞ্চলে অতিথি পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলার জলদী বনবিটের আওতাধীন বাঁশখালী ইকোপার্কটিতে পর্যটকদের পাশাপাশি অতিথি পাখিদের কল-কাকলিতে মুখরিত। ২০০৪ সালে বামের ছড়া ও ডানের ছড়া নিয়ে এ পার্কটির সৃষ্টি করা হয়। ইকোপার্কে আসা পর্যটক মোঃ সেলিম জানান, তিনি বহুবার এ ইকোপার্কে এসেছেন। কিন্তু এবারের শীতে বেশি অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। অতিথি পাখিদের অবাধে বিচরণের জন্য ঝুলন্ত ব্রিজের মেরামত ও ইকোটু্যরিজম বৃদ্ধি করা দরকার বলে তিনি জানান। এছাড়া দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ইকোপার্কের রাস্তা সমপ্রসারণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
অপরদিকে, লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যেও অতিথি পাখিদের বিচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যতোই অভয়ারণ্যের ভিতরে যাওয়া যাবে, ততই গাছে-গাছে, পাহাড়ে ও বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে রঙ-বেরঙের অতিথি পাখি। ৭ হাজার ৭৬৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে গঠিত এ অভয়ারণ্য থেকে প্রতিনিয়ত গাছ নিধন হলেও এটি অতিথি পাখি বিচরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অন্যদিকে এশিয়ান হাতি প্রজননের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং দেশের বিরল বিশাল বন এলাকা হিসেবে এ অভয়ারণ্যটির বেশ পরিচিতি রয়েছে।
Source: Daily Ittefaqসরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলার জলদী বনবিটের আওতাধীন বাঁশখালী ইকোপার্কটিতে পর্যটকদের পাশাপাশি অতিথি পাখিদের কল-কাকলিতে মুখরিত। ২০০৪ সালে বামের ছড়া ও ডানের ছড়া নিয়ে এ পার্কটির সৃষ্টি করা হয়। ইকোপার্কে আসা পর্যটক মোঃ সেলিম জানান, তিনি বহুবার এ ইকোপার্কে এসেছেন। কিন্তু এবারের শীতে বেশি অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। অতিথি পাখিদের অবাধে বিচরণের জন্য ঝুলন্ত ব্রিজের মেরামত ও ইকোটু্যরিজম বৃদ্ধি করা দরকার বলে তিনি জানান। এছাড়া দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ইকোপার্কের রাস্তা সমপ্রসারণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
অপরদিকে, লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যেও অতিথি পাখিদের বিচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যতোই অভয়ারণ্যের ভিতরে যাওয়া যাবে, ততই গাছে-গাছে, পাহাড়ে ও বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে রঙ-বেরঙের অতিথি পাখি। ৭ হাজার ৭৬৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে গঠিত এ অভয়ারণ্য থেকে প্রতিনিয়ত গাছ নিধন হলেও এটি অতিথি পাখি বিচরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অন্যদিকে এশিয়ান হাতি প্রজননের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং দেশের বিরল বিশাল বন এলাকা হিসেবে এ অভয়ারণ্যটির বেশ পরিচিতি রয়েছে।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হতে পারে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র
০০লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বনাঞ্চল এবং হাতি প্রজননের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক অপরূপ লীলাভূমি। অভয়ারণ্যের উলেস্নখযোগ্য প্রাণী এশীয় হাতি ছাড়া বন্য শুকর, বানর, হনুমান, মায়া হরিণ, সাম্বারসহ ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, সাত প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৩ প্রজাতির পাখি এবং ১০৭ প্রজাতির বৃক্ষরাজির সমন্বয়ে গঠিত বিশাল বনভূমি। বৃক্ষের সৌন্দর্যের সমন্বয়, উঁচু-নিচু পাহাড়ে সৃজিত বাগান আর বাগানে পাখিদের মিষ্টি সুরে মুখরিত অভয়ারণ্যটি হতে পারে একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র। যা থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।
সংশিস্নষ্ট বিভাগের তথ্য মতে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ বনাঞ্চল ও তার পাশর্্ববর্তী এলাকাসমূহ মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়াসহ ৭টি সংরক্ষিত বনভূমি নিয়ে অভয়ারণ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অধীনে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বনাঞ্চল সুরক্ষা, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন, শিক্ষা, গবেষণা ও চিত্ত বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ২০০৩ সালে এলাকায় চুনতি ও জলদী রেঞ্জের অধীনে ৭টি বিট অফিস স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য অভয়ারণ্য এলাকায় বনপুকুর, প্রাকৃতিক গর্জন বনাঞ্চল, এশীয় বন্যহাতির অবাধে বিচরণ, গয়ালমারা প্রাকৃতিক হ্রদ, বনপুকুর ফুটট্রেইল, জাঙ্গালীয়া ফুটট্রেইল, পর্যটন টাওয়ার, গোলঘর, স্টুডেন্ট ডরমিটরি, নেচার কনজারভেশন সেন্টার, গবেষণা কেন্দ্র, ইকোকটেজসহ বিভিন্ন প্রতিবেশ পর্যটন বা ইকোটু্যরিজম স্থাপন করা হয়। সংরক্ষিত বন এলাকায় ভ্রমণের জন্য ৮ জন প্রশিক্ষিত টু্যরগাইড সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে।
পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে সহজে অভয়ারণ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ এশীয় হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর এবং পাখির অবাধ বিচরণ উপভোগ করা যায়। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পশ্চিম পাশ্বর্ে অভয়ারণ্যের অবস্থান। অভয়ারণ্যের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, এটিকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ার জন্য ইকোটু্যরিজমের কিছু বিশেষ আকর্ষণ বিশেষ করে পর্যটন অবকাঠামো তৈরি করলে এটি দেশের অন্যতম ইকোপার্কে পরিণত হবে। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। এদিকে অভয়ারণ্যের বিশাল এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত রক্ষিত এলাকা সহ-ব্যবস্থাপনা (আইপ্যাক) ইউএসআইডি'র অর্থায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আইপ্যাকের সাইট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ খাইরুজ্জামান জানান, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে অচিরেই অভয়ারণ্যটি দেশের সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। সহজেই মনোরম পরিবেশে এ প্রাকৃতিক সৌন্দয্য উপভোগ করা যাবে। সহ-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইতিমধ্যে অভয়ারণ্যের জীববৈচিত্র্য বহুলাংশে উন্নয়ন করা হয়েছে। সামনে লেক ও বিশ্রামাগার করার পরিকল্পনা আছে। অভয়ারণ্যের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রবীন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, পর্যটকদের আকর্ষণীয় করার জন্য অভয়ারণ্যের ভিতরে আরো প্রাকৃতিক হ্রদ, রাস্তা-ঘাট, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বিভিন্ন পর্যটন উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জার্মানীর জেটিজেড'র অর্থায়নে আগামী পাঁচ বছরে প্রাকৃতিক বন সুরক্ষা ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনাসহ ইকোটু্যরিজমের কাজ হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল সিংহ জানান, চুনতি অভয়ারণ্যটি দক্ষিণ পূর্ব উপমহাদেশের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি বনাঞ্চল। এটিকে আধুনিক পর্যটনের সুবিধায় নিয়ে আসতে পারলে প্রকৃতি গবেষণাগারের সুবিধাসহ সরকারের প্রচুর রাজস্ব আয় হবে।
Source: Daily Ittefaq
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য এলাকা পর্যটন শিল্পের বিশাল সম্ভাবনাঃ
সংশিস্নষ্ট বিভাগের তথ্য মতে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ বনাঞ্চল ও তার পাশর্্ববর্তী এলাকাসমূহ মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়াসহ ৭টি সংরক্ষিত বনভূমি নিয়ে অভয়ারণ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অধীনে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বনাঞ্চল সুরক্ষা, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন, শিক্ষা, গবেষণা ও চিত্ত বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ২০০৩ সালে এলাকায় চুনতি ও জলদী রেঞ্জের অধীনে ৭টি বিট অফিস স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য অভয়ারণ্য এলাকায় বনপুকুর, প্রাকৃতিক গর্জন বনাঞ্চল, এশীয় বন্যহাতির অবাধে বিচরণ, গয়ালমারা প্রাকৃতিক হ্রদ, বনপুকুর ফুটট্রেইল, জাঙ্গালীয়া ফুটট্রেইল, পর্যটন টাওয়ার, গোলঘর, স্টুডেন্ট ডরমিটরি, নেচার কনজারভেশন সেন্টার, গবেষণা কেন্দ্র, ইকোকটেজসহ বিভিন্ন প্রতিবেশ পর্যটন বা ইকোটু্যরিজম স্থাপন করা হয়। সংরক্ষিত বন এলাকায় ভ্রমণের জন্য ৮ জন প্রশিক্ষিত টু্যরগাইড সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে।
পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে সহজে অভয়ারণ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ এশীয় হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর এবং পাখির অবাধ বিচরণ উপভোগ করা যায়। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পশ্চিম পাশ্বর্ে অভয়ারণ্যের অবস্থান। অভয়ারণ্যের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, এটিকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ার জন্য ইকোটু্যরিজমের কিছু বিশেষ আকর্ষণ বিশেষ করে পর্যটন অবকাঠামো তৈরি করলে এটি দেশের অন্যতম ইকোপার্কে পরিণত হবে। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। এদিকে অভয়ারণ্যের বিশাল এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত রক্ষিত এলাকা সহ-ব্যবস্থাপনা (আইপ্যাক) ইউএসআইডি'র অর্থায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আইপ্যাকের সাইট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ খাইরুজ্জামান জানান, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে অচিরেই অভয়ারণ্যটি দেশের সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। সহজেই মনোরম পরিবেশে এ প্রাকৃতিক সৌন্দয্য উপভোগ করা যাবে। সহ-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইতিমধ্যে অভয়ারণ্যের জীববৈচিত্র্য বহুলাংশে উন্নয়ন করা হয়েছে। সামনে লেক ও বিশ্রামাগার করার পরিকল্পনা আছে। অভয়ারণ্যের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রবীন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, পর্যটকদের আকর্ষণীয় করার জন্য অভয়ারণ্যের ভিতরে আরো প্রাকৃতিক হ্রদ, রাস্তা-ঘাট, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বিভিন্ন পর্যটন উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জার্মানীর জেটিজেড'র অর্থায়নে আগামী পাঁচ বছরে প্রাকৃতিক বন সুরক্ষা ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনাসহ ইকোটু্যরিজমের কাজ হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল সিংহ জানান, চুনতি অভয়ারণ্যটি দক্ষিণ পূর্ব উপমহাদেশের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি বনাঞ্চল। এটিকে আধুনিক পর্যটনের সুবিধায় নিয়ে আসতে পারলে প্রকৃতি গবেষণাগারের সুবিধাসহ সরকারের প্রচুর রাজস্ব আয় হবে।
Source: Daily Ittefaq
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য এলাকা পর্যটন শিল্পের বিশাল সম্ভাবনাঃ
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অঞ্চলটি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ও বাঁশখালী উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মধ্যবর্তী সংযোগস্থলের নিবিড় পাহাড়ী এলাকায় বিস্তৃত বনভূমি নিয়ে গঠিত। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৭০ কিঃ মি দক্ষিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে প্রাকৃতিক বনভূমির জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ অঞ্চলটি নিয়ে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারন্যের অবস্থান।
ক্ষয়িষ্ণু এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র পূনরুদ্ধার, সুরক্ষা, বন্যপ্রানীর আবাসস্থল উন্নয়ন, শিক্ষা গবেষনা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে ৭৭৬৪.০০ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমি নিয়ে এ অভয়ারন্যটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত বনাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৩-০৪ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত ৪৬৫.০০ হেক্টর এলাকায় বাগান সৃজন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বনায়ন কার্যক্রম চলছে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ১৫০.০০ হেক্টর বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাছাড়া প্রকৃতি শিক্ষা কেন্দ্র-১টি, ষ্টুডেন্ট ডরমিটরী-১টি, এসিএফ বাংলো ও পার্ক অফিস-চুনতি সদরে ১টি,হারবাং বিটে -১টির উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত নিম্নবর্ণিত অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। ষ্টাফ ব্যারাক-১টি, পাবলিক টয়লেট-১টি, এইচবিবি সিসি রাস্তা-৩০০মিঃ
চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় পর্যটক সুবিধার জন্য নিম্নবর্ণিত প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটকের ব্যাপক সমাগম হবে। একই সাথে রাজস্ব আরও বাড়বে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় এ অভয়ারণ্যের পর্যটন সম্ভাবনা বিশাল।
১। প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ঢোকার প্রবেশমুখে ১টি ডিজিটাল সাইনবোর্ড স্থাপন।
২। পার্কিং স্থানগুলোয় মাটিভরাট।
৩। পার্কিং এলাকার আশেপাশে বসার স্থান, গেষ্ট রুম, খাওয়া-দাওয়ার স্থান নির্মান।
৪। পর্যটকদের আকর্ষন বাড়ানোর জন্য বনের ৪০/৫০ একর জায়গা ঘিরা দিয়ে নীচু জায়গায় জলাশয় নির্মাণ করে উহার মধ্যে হরিন,সম্বর ইত্যাদির একটি প্রজননকেন্দ্র তৈরী করা।
৫। পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য foot trail গুলোকে ইটের সলিং দ্বারা ৫র্ চওড়া রাস্তা তৈরী করা।
৬। কিছু দুর পর পর পাহাড়ের উপর উঁচু গোলঘর তৈরী করা যাতে পর্যটকগন মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে পারে।
৭। অভয়ারন্যের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য তিনটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার (৮০-১০০)ফুট নির্মাণ করা।
৮। অভয়ারন্য এলাকায় ১০টি Water Body বা জলাশয়/লেক নির্মান করা।
৯। পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য বোটিং, ফিশিং, চলচিত্রের স্যুাটিং ইত্যাদির ব্যবস্থা করা
১০। বন্য পশু পাখীদের সংরক্ষন ও প্রজননের জন্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষন ও উন্নয়ন।
১১। চুনতি থেকে বাঁশখালী ইকোপার্ক পর্যন্ত ১টি Rope Way নির্মাণ করা।
১২। Tourist Hotel নির্মাণ করা।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য অঞ্চলটি একটি বিস্তৃত পাহাড়ী বনভূমি বিধায় উহার ভূপ্রকৃতি ও অবস্থানের জন্য উহার দ্বারা পরিবেশগত এবং জলবায়ুর প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ন।
Related Linls:
ক্ষয়িষ্ণু এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র পূনরুদ্ধার, সুরক্ষা, বন্যপ্রানীর আবাসস্থল উন্নয়ন, শিক্ষা গবেষনা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে ৭৭৬৪.০০ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমি নিয়ে এ অভয়ারন্যটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত বনাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৩-০৪ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত ৪৬৫.০০ হেক্টর এলাকায় বাগান সৃজন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বনায়ন কার্যক্রম চলছে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ১৫০.০০ হেক্টর বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাছাড়া প্রকৃতি শিক্ষা কেন্দ্র-১টি, ষ্টুডেন্ট ডরমিটরী-১টি, এসিএফ বাংলো ও পার্ক অফিস-চুনতি সদরে ১টি,হারবাং বিটে -১টির উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত নিম্নবর্ণিত অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। ষ্টাফ ব্যারাক-১টি, পাবলিক টয়লেট-১টি, এইচবিবি সিসি রাস্তা-৩০০মিঃ
চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় পর্যটক সুবিধার জন্য নিম্নবর্ণিত প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটকের ব্যাপক সমাগম হবে। একই সাথে রাজস্ব আরও বাড়বে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় এ অভয়ারণ্যের পর্যটন সম্ভাবনা বিশাল।
১। প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ঢোকার প্রবেশমুখে ১টি ডিজিটাল সাইনবোর্ড স্থাপন।
২। পার্কিং স্থানগুলোয় মাটিভরাট।
৩। পার্কিং এলাকার আশেপাশে বসার স্থান, গেষ্ট রুম, খাওয়া-দাওয়ার স্থান নির্মান।
৪। পর্যটকদের আকর্ষন বাড়ানোর জন্য বনের ৪০/৫০ একর জায়গা ঘিরা দিয়ে নীচু জায়গায় জলাশয় নির্মাণ করে উহার মধ্যে হরিন,সম্বর ইত্যাদির একটি প্রজননকেন্দ্র তৈরী করা।
৫। পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য foot trail গুলোকে ইটের সলিং দ্বারা ৫র্ চওড়া রাস্তা তৈরী করা।
৬। কিছু দুর পর পর পাহাড়ের উপর উঁচু গোলঘর তৈরী করা যাতে পর্যটকগন মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে পারে।
৭। অভয়ারন্যের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য তিনটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার (৮০-১০০)ফুট নির্মাণ করা।
৮। অভয়ারন্য এলাকায় ১০টি Water Body বা জলাশয়/লেক নির্মান করা।
৯। পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য বোটিং, ফিশিং, চলচিত্রের স্যুাটিং ইত্যাদির ব্যবস্থা করা
১০। বন্য পশু পাখীদের সংরক্ষন ও প্রজননের জন্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষন ও উন্নয়ন।
১১। চুনতি থেকে বাঁশখালী ইকোপার্ক পর্যন্ত ১টি Rope Way নির্মাণ করা।
১২। Tourist Hotel নির্মাণ করা।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য অঞ্চলটি একটি বিস্তৃত পাহাড়ী বনভূমি বিধায় উহার ভূপ্রকৃতি ও অবস্থানের জন্য উহার দ্বারা পরিবেশগত এবং জলবায়ুর প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ন।
Related Linls:
No comments:
Post a Comment